স্মারক অনুষ্ঠানে নেপালের উপপ্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, সুপ্রিম কোর্টের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, সাংবিধানিক সংস্থা, সরকার, নিরাপত্তা সংস্থা, সার্কের পর্যবেক্ষক দেশের মিশনসহ কূটনৈতিক মিশনের প্রধান, সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা, ব্যবসায়ী সম্প্রদায়, মিডিয়া কর্মী এবং সমাজের সর্বস্তরের মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত, মালদ্বীপ, নেপাল, পাকিস্তান এবং শ্রীলঙ্কার রাষ্ট্র-সরকার প্রধানরা এই ঐতিহাসিক দিনটি স্মরণে বিশেষ বার্তা জারি করেছেন।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রদূত সারওয়ার বলেন, সার্ক প্রতিষ্ঠার পর থেকে দারিদ্র্য বিমোচনসহ সহযোগিতার বেশ কিছু সম্মত ক্ষেত্রে অবিচল অগ্রগতি করেছে, যেটিকে সার্কের নেতৃবৃন্দ সার্কের অত্যধিক গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্য হিসেবে বর্ণনা করেছেন। তিনি ২০২৩ সালের মধ্যে সার্কের অগ্রগতিও সংক্ষিপ্তভাবে পর্যালোচনা করেন যার মধ্যে রয়েছে এডিবি, ইউএনইএসসিএপি, জাপান সরকার, কোরিয়া প্রজাতন্ত্র সরকার দ্বারা সমর্থিত চলমান কর্মসূচি, যা পুরোদমে চলছে। তাছাড়া সার্কের বিভিন্ন সদস্য রাষ্ট্রসমূহে অবস্থিত আঞ্চলিক কেন্দ্র এবং বিশেষায়িত সংস্থাগুলোর কার্যক্রম পুরোদমে এগিয়ে চলেছে।
তিনি আগামী বছরগুলোতে সার্কের কার্যক্রম আরও বেগবান করার আশাবাদ ব্যক্ত করেন। সার্কের মহাসচিব আয়োজিত অনুষ্ঠানে আটটি সদস্য রাষ্ট্র থেকে তাদের সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে চিত্রিত করে নৃত্যের একটি লাইভ সাংস্কৃতিক পরিবেশনা অন্তর্ভুক্ত ছিল।
উল্লেখ্য, দক্ষিণ এশীয় সাতটি দেশের রাষ্ট্রপ্রধান বা সরকার প্রধানরা ৮ ডিসেম্বর ১৯৮৫ সালে বাংলাদেশের ঢাকায় অনুষ্ঠিত প্রথম শীর্ষ সম্মেলনে সার্ক এর সনদ গ্রহণের মাধ্যমে বিশ্বের এক চতুর্থাংশেরও বেশি জনসংখ্যা অধ্যুষিত বৃহত্তম আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থা প্রতিষ্ঠা করেন। সেই থেকে প্রতি বছর ৮ ডিসেম্বর সমগ্র দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলে সার্ক সনদ দিবস হিসেবে পালিত হয়।