২০২৬ বিশ্বকাপ বাছাইয়ে নিজেদের সবশেষ ম্যাচে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ব্রাজিলকে তাদের মাঠেই হারায় আর্জেন্টিনা। তবে ম্যাচটি ছাপিয়ে তখনই আর্জেন্টাইনদের আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে ওঠেন তাদের বিশ্বকাপজয়ী কোচ লিওনেল স্কালোনি। কারণ, জাতীয় দলের দায়িত্ব ছাড়ার আভাস দিয়েছিলেন তিনি।
মেসি-ডি মারিয়াদের এবং তাদের উত্তরসূরীদের আরও শক্তিশালী একজন কোচ দরকার—এমন মন্তব্যই করেছিলেন ৪৬ বছর বয়েসি এই আর্জেন্টাইন কোচ। এরপর থেকে বিভিন্ন রকমের গুঞ্জনই কানে এসেছে।
অবশ্য এর পেছনের কারণ হিসেবে আর্জেন্টিনার গণমাধ্যমগুলোর দাবি ছিল ফুটবল ফেডারেশন সভাপতি ক্লদিও তাপিয়ার সঙ্গে মতবিরোধের জেরেই নাকি নিজের পদ ছাড়তে চান কোচ স্কালোনি। আবার ব্রিটিশ গণমাধ্যম দ্য অ্যাথলেটিক সামনে এনেছিল মেসির সঙ্গে তার দ্বন্দ্বের খবর।
অন্যদিকে, কোচ স্কালোনিসহ বাকি কোচিং প্যানেলের প্রত্যেকেই বিশ্বকাপের শিরোপা জেতায় ঘোষিত বোনাস বুঝে পাননি এমন কথাও প্রকাশ্যে এসেছে।
অবশেষে নিজের মত কিছুটা বদলেছেন কোচ স্কালোনি। নিজেই জানিয়েছেন তার লম্বা সময় কোচ থাকার বার্তা। সম্প্রতি উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগে অ্যাথলেটিকো মাদ্রিদ এবং লাৎজিও ম্যাচে হাজির ছিলেন বিশ্বকাপজয়ী কোচ। এরপরই নিজের সিদ্ধান্তের কথা প্রকাশ করেছেন তিনি।
ম্যাচশেষে এই কোচ বলেন, ‘আমার এবং কোচিং স্টাফের লক্ষ্য আমরা যা অর্জন করেছি, লম্বা সময় ধরে তার প্রমাণ করে যাওয়া।’ মেট্রোপলিটানো স্টেডিয়ামে বসে এই কোচ আরও উল্লেখ করেছিলেন, ‘মূল বিষয়টা হচ্ছে, এটা পরখ করে দেখা আমরা যা অর্জন করেছি, সেটার জন্য সত্যিই আমরা যোগ্য কি না। এখনও আমরা সেখানেই আছি। তাই প্রথম দিনের পর থেকে আজ পর্যন্ত কিছুই পরিবর্তন হয়নি।’
আর্জেন্টাইন বিশ্বকাপজয়ী কোচ বলেন, ‘আমি এ কারণেই মাদ্রিদে এসেছি। রদ্রিগো ডি পল এবং নাহুয়েল মলিনার সঙ্গে এসব নিয়ে কথা বলব (দুজনেই অ্যাথলেটিকো মাদ্রিদের খেলোয়াড়)।’ এ ছাড়া বড়দিনের ছুটির আগেই মায়ামিতে দলের অধিনায়ক লিওনেল মেসির সঙ্গেও কথা বলতে চান কোচ স্কালোনি। এরপরেই দুজন মিলে যাত্রা করবেন আর্জেন্টিনার রোজারিও শহরে।