নিজস্ব প্রতিবেদক:
অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় চলমান যুদ্ধ ও তীব্র শীতের মধ্যে ভারী বৃষ্টি ও টানা বৃষ্টিতে সৃষ্ট বন্যায় নাজেহাল বাস্তুচ্যুত বাসিন্দারা। বৃষ্টি ও বন্যার পানিতে ভিজে গেছে কাপড়ের তাঁবু। এরই মধ্যে ক্ষুধা ও অনাহারে গুটিসুটি মেরে বসে আছেন অসহায় বাসিন্দারা।
রাফায় তাঁবু দিয়ে বানানো একটি ক্যাম্পে দেখা গেছে, বুধবার রাতের ভারী বৃষ্টির পর লোকজন নিজেদের স্থান গোছানোর চেষ্টা করছেন। পানি দূর করতে বালতিতে করে তারা বালু নিয়ে তাঁবুর ভেতর ও বাইরে ঢালছেন এবং ভেজা কাপড় টানাচ্ছেন। খবর আল-জাজিরা’র।
কিছু পরিবারের কাছে উপযুক্ত তাঁবু থাকলেও অনেকেরই মূল সম্বল ত্রিপল বা প্লাস্টিকের জিনিসপত্র, যা দিয়ে নিজেদের সুরক্ষার চেষ্টা করছেন। অনেক তাঁবুর কোনো গ্রাউন্ডশীট ছিল না, তাই বহু মানুষ ভিজে বালুতেই রাত কাটাতে বাধ্য হন।
ইসরাইলি হামলায় ইতোমধ্যে গাজার পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা ধ্বংস হয়েছে। এরইমধ্যে সেখানে বৃষ্টিতে সৃষ্ট বন্যার কারণে ধ্বংসস্তূপ আটকে বন্ধ হয়ে গেছে রাস্তাগুলো। জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতেও। সেখানেই হাজার হাজার বাস্তুচ্যুত মানুষ খাদ্য ও পানির ঘাটতির পাশাপাশি রোগ ও অনাহারের হুমকির সঙ্গে লড়ছে।
এদিকে, হামাসকে বাইরে বের করে নিয়ে আসতে গাজায় টানেলের মধ্যে পানি ঢালতে শুরু করেছে ইসরায়েল। প্রথমে সীমিত পরিসরে টানেলগুলোতে সমুদ্রের পানি ছাড়া হচ্ছে।
হামাসের টানেলে পানি ঢালা প্রসঙ্গে এক মার্কিন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এ ব্যবস্থা কার্যকর হবে কি না তা ইসরাইল জানে না। তবে যুক্তরাষ্ট্রকে আশ্বস্ত করে জানানো হয়েছে, যেসব টানেলে জিম্মিদের রাখা হয়েছে সেখানে পানি ঢালা হচ্ছে না। পরীক্ষামূলকভাবে কিছু টানেলে পানি প্রবেশ করানো হচ্ছে।
গাজায় ইসরাইলি হামলায় এখন পর্যন্ত ১৮ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৫০ হাজারের কাছাকাছি। অন্যদিকে গাজায় স্থল অভিযান পরিচালনা করতে গিয়ে এখন পর্যন্ত ১১৬ জন ইসরাইলি সেনা নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার একদিনেই নিহত হয়েছেন ১০ জন।