today visitors: 5073432

কোনো একদিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কবিতাটি শুনিয়েছিলেন চিত্রনায়ক ফেরৗদস

মো:আলমগীর হোসেন বিশেষ প্রতিনিধি তারাকান্দা ময়মনসিংহ।
কোনো একদিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কবিতাটি শুনিয়েছিলেন চিত্রনায়ক ফেরৗদস আহমেদ। সেই কবিতাটি এখন নির্বাচনী সভা সমাবেশে নেতাকর্মীদের শোনাচ্ছেন দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের ঢাকা ১০ আসনের আওয়ামী লীগ মনোনীত এই প্রার্থী। সোমবার রাজধানীর কলাবাগান স্টাফ কোয়াটারে ছিল ১৭ নং আওয়ামী লীগের কর্মীসভা। সেখানে প্রধান অতিথি ছিলেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। বিশেষ অতিথি ছিলেন নায়ক ফেরদৌস। এই কর্মী সভাতেই নায়ক আশ্বাস দিলেন সবার পাশে থাকার, অঙ্গীকার করলেন প্রতিশ্রুতি অটুট রাখার।
ফেরদৌস বলেন, ‘শিল্পীদের প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অগাধ ভালোবাসা। সেই ভালোবাসার উপহার হিসেবে তিনি আমার হাতে এমন এক উপহার দিয়েছেন সেটার ভার আমি সামলাতে পারব না যদি আপনারা সবাই আমার পাশে না থাকেন। তিনি ঢাকা ১০ আসনের কাণ্ডারি হিসেবে এই আসনটি আমার হাতে তুলে দিয়েছেন। আমি অঙ্গীকার করছি, আমার সর্বস্ব দিয়ে চেষ্টা করব তার সেই বিশ্বাস যেন অটুট রাখতে পারি। মানুষকে আমরা কল্যাণের দিকে নিয়ে যাব- এইটাই হবে আমাদের সবচেয়ে বড় অঙ্গীকার। প্রধানমন্ত্রী শুধু আমার হাতে নৌকা তুলে দেননি। আমার সামনে যেসব নেতাকর্মী আছেন তাদের সবার হাতেই কিন্তু এই নৌকা তুলে দিয়েছেন।’নিজের জীবনের প্রসঙ্গ টেনে অতীত গল্প বলার ছলে ফেরদৌস বলেন, স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে পরিশ্রম লাগে। আমি সেটা করতে পারি। আমি জীবনেও ভাবিনি নি সিনেমায় আসবো, নায়ক হব। আমার মা এখনো বলেন, অভিনয় অনেক হয়েছে এবার একটা সরকারি চাকরি কর। আমি মাকে বলি আমার অনেক বয়স হয়েছে- আমার সরকারি চাকরি হবে না। সেরকম একটি পারিবারিক আবহ থেকে আমি চলচ্চিত্রে এসেছি। আমার আত্মবিশ্বাস ও কঠিন পরিশ্রম আমাকে এই জায়গায় নিয়ে এসেছে।
অভিনয় যোগ্যতায় পাঁচবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন ফেরদৌস। নির্বাচনী বক্তব্যে এ তথ্য বলতেও ভুললেন না নায়ক। বিষয়টি উল্লেখ করে জানিয়ে দিলেন যে প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে পাঁচবার এই স্বীকৃতি বা সম্মান পায় তার উপর ভরসা রাখা যায়।
ফেরদৌস বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত থেকে আমি পাঁচ বার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছি। আমার আত্মবিশ্বাস ছিলো বলেই আমি বাংলাদেশের গণ্ডি পেরিয়ে কলকাতা গিয়েও সফল হয়েছি। প্রধানমন্ত্রীর কল্যাণমূলক কাজগুলো ভালো লাগে বলেই আমি তার সঙ্গে দির্ঘী ১৫-২০ বছর ধরে তাঁর সঙ্গে আছি। তাঁর হয়ে টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া আমি নির্বাচনী প্রচারণা করেছি। সেখান থেকে আমি রাজনীতির ছোট ছোট বিষয় শিখতে শুরু করেছি। সেই নৌকা আজ আমার কাছে এসেছে। সবার সহযোগিতায় নৌকাকে বহু দূর নিয়ে যেতে চাই।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *