মোঃ নাজমুস সাকিব (সাতক্ষীরা সদর প্রতিনিধি)
আজ (৪ ডিসেম্বর) সোমবার সকাল ১১ টায় সাতক্ষীরা বোটানিক্যাল সোসাইটির উদ্যোগে
ভেষজ উদ্ভিদ সংরক্ষণ ও সুষ্ঠ ব্যবহার নিশ্চিতে পাঠচক্র ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
লেখক ও গবেষক উদ্ভিদ বৈচিত্র নিয়ে গবেষণা ধর্মী একাধিক গ্রন্থের প্রণেতা ড. আখতারুজ্জামান চৌধুরীর লেখা "বাংলাদেশের উদ্ভিদ পরিচিতি" বইটি নিয়ে
সাতক্ষীরা সরকারি কলেজ চত্তরে পাঠচক্র ও আলোচনা সভার আয়োজন করে সাতক্ষীরা বোটানিক্যাল সোসাইটি।
এই গ্রন্থ উদ্ভিদবিদ্যার শিক্ষার্থী,গবেষক ও জনমানুষের জন্য দেশের উদ্ভিদপ্রজাতিসমূহ চেনা-জানা সহজতর করবে।বর্তমান গ্রন্থে ২৫০ টি উদ্ভিদ প্রজাতির বৈজ্ঞানিক তথ্য সন্নিবেশিত হয়েছে।প্রাঞ্জল ভাষায় উদ্ভিদের সচিত্র বর্ণনাসহ স্থানীয় ও বৈজ্ঞানিক নাম,
আবাসস্থল, বিস্তৃতি, গুরুত্ব,উষধি গুণাগুণ, বংশবিস্তার ও সংরক্ষণ বিষয়ে আলোকপাত করার কারণে এই গ্রন্থ শিক্ষার্থী, বৃক্ষপ্রেমী ও আগ্রহীদের এদেশের উদ্ভিদ সম্পর্কে একটি পরিপূর্ণ ধারনা প্রদানে সক্ষম।
দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে তথ্য সংগ্রহের মাধ্যমে নিরলস ভাবে কঠোর পরিশ্রম করে গ্রন্থটি রচনা করেছেন ড. আখতারুজ্জামান চৌধুরী।
পাঠচক্র শেষে সবাই ভেষজ উদ্ভিদ সংরক্ষণ ও সুষ্ঠ ব্যবহার নিশ্চিতে নিজ নিজ মতামত ও অভিজ্ঞতা বিনিময় করেন।
সাতক্ষীরা বোটানিক্যাল সোসাইটির সভাপতি তারিক ইসলামের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ হোসেন সঞ্চালনায় পঠচক্র ও আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন, সহ সভাপতি ফয়জুর রহমান মিশুক, দপ্তর সম্পাদক আকদাস হুসাইন,দক্ষতা ও জনশক্তি সম্পাদক ইয়াছিন আরাফাত,পরিবেশ জলবায়ু ও ভূপ্রকৃতি সম্পাদক পৃথা মন্ডল।কার্যনির্বাহি সদস্য,সৈয়দা সাদিয়া,শিরিনা সুলতানা,রানী চক্রবর্তী,মাহফুজা সুলতানা, সজীব সরকার,
আল ইমরান,মোঃ মহিন শেখ,শেখ রাফায়েত হক প্রমুখ।
সাতক্ষীরা বোটানিক্যাল সোসাইটির সভাপতি তারিক ইসলাম বলেন,বর্তমানে দেশের ২০-২৫% প্রজাতির উদ্ভিদ রয়েছে বিপন্ন পর্যায়ে।এখনই যদি উদ্যোগী না হওয়া যায় তবে অচিরেই বিপন্ন প্রজাতির উদ্ভিদ গুলো হারিয়ে যাবে,হারিয়ে যাবে ঐসকল উদ্ভিদের উপরে নির্ভরশীল প্রাণীবৈচিত্র্যও।ভেষজ উদ্ভিদের সুষ্ঠ ব্যবহার নিশ্চিত করতে হলে আমাদের জানা দরকার কোন উদ্ভিদ কোন কাজে লাগে এবং কোন এলাকায় কোন গাছ ভালো জন্মে।মানুষের অসচেতনতা ও অবহেলার কারণে অতি প্রয়োজনীয় অনেক গাছপালা কালের বিবর্তনে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। এ জন্য আমাদের সকল উদ্ভিদপ্রজাতির সাথে পরিচয় থাকা প্রয়োজন।