বর্তমান নেত্রকোনা জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা।

মো: আরমগীর হোসেন বিশেষ প্রতিনিধি তারাকান্দা ময়মনসিংহ।

নাম:মোশতাক আহমেদ রুহী

জন্ম- ১৯৭৪ সালের ১৯ই জুন ।

পিতা – মরহুম অধ্যক্ষ মুজিবর রহমান

মাতা -মরহুমা আনোয়ারা রহমান

স্ত্রী _সৈয়দা মারুফা জাহান
তিন সন্তানের জনক
বড় ছেলে
ইরফান আহমেদ,
ছোট ছেলে
জিনান আহমেদ,
একমাত্র মেয়ে
জাররা আহমেদ,

বড় বোন – ড. নাসরিন জাহান – অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী

বড় ভাই – মোসফিক আহমেদ শাহী ১৯৯১ সালে আনন্দ মোহন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ শাখা ছাত্রলীগের ক্রীড়া সম্পাদক । বর্তমানে ময়মনসিংহ জেলা তাতী লীগের সভাপতি

শিক্ষাজীবন : –
——————–

স্কুলজীবনে টেলেন্টপুলে বৃত্তি লাভ ।

১৯৮৯ সালে ময়মনসিংহ জিলা স্কুল থেকে স্টার মার্ক পেয়ে এসএসসি । আনন্দ মোহন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ থেকে ১৯৯১ সালে এইচএসসি প্রথম বিভাগে উর্ত্তীন ।

১৯৯৪ সালে অর্থনীতিতে অনার্স দ্বিতীয় শ্রেনী

১৯৯৬ সালে এমএমএস দ্বিতীয় শ্রেনী ।

সাংগঠনিক পদবী :-
—————————-
বর্তমান নেত্রকোনা জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা।

১৯৯০ সালে ছাত্রলীগ আনন্দ মোহন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ শাখার সদস্য।

১৯৯১ সালে আনন্দ মোহন বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের সর্বোচ্চ ভোট পেয়ে এজিএস নির্বাচিত হোন ।

১৯৯২ সালে আহবায়ক চেতনা ৭১।

১৯৯৪ সালে ময়মনসিংহ জেলা ছাত্রলীগের শিক্ষা ও পাঠচক্র সম্পাদক ।

১৯৯৫ সালে ময়মনসিংহ জেলা বঙ্গবন্ধু স্মৃতি সংসদের সহ- সভাপতি ।

১৯৯৬ সালে সর্বোচ্চ ভোট পেয়ে ভিপি নির্বাচিত হোন ।

২০০৩ সালে আওয়ামী যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ।

২০০৮ সালে ৫৫ হাজার ভোটের ব্যবধানে নবম জাতীয় সংসদের সদস্য নির্বাচিত ।

সামাজিক ও ক্রীড়া সংগঠক :-
———————————————–

ছাত্রজীবনেই ময়মনসিংহে অনেক সামাজিক ,সাংস্কৃতিক , ক্রীড়া প্রতিষ্ঠানের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত ছিলেন ।

ফুটবল,ক্রিকেট, এথলেটিক, টেবিল টেনিস প্রতিযোগিতা ছাড়াও উপস্থিত বক্তৃতায় অনেক পুরস্কার পেয়েছেন ছাত্রজীবনে ।

সন্ধানী বিজ্ঞান ক্লাব ও খেলাঘরের সাথে জড়িত ছিলেন ।

এরিয়া বাংলাদেশ নামের এনজিও র চেয়ারম্যান ।

ময়মনসিংহ প্রথম বিভাগ ফুটবল চ্যাম্পিয়ান ফ্রেন্ডস ইলেভেন ক্লাবের সভাপতি।

স্বৈরশাসক এরশাদ বিরোধী গণঅভ্যুত্থান:-
——————————————————
স্বৈরশাসক এরশাদ বিরোধী গন-অভ্যুত্থান তখন ছাত্রলীগ আনন্দ মোহন কলেজ শাখার সদস্য । নেতৃত্বে সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্যের সেসময়ের তুখোড় ছাত্রনেতারা। তাদের মিছিলে পুলিশ গুলিবর্ষন করলো ছাত্রনেতা ফিরোজ ও জাহাঙ্গীর শহীদ হোন ।

ছাত্রসংসদ নিবার্চনে জয়লাভ:-

—————————————-

১৯৯১ সাল বিএনপি সরকার উচ্চমাধ্যমিক দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র – ছাত্রলীগ মনোনীত প্যানেল থেকে বিপুল ভোটের ব্যবধানে আমোকসুর এজিএস নির্বাচিত হোন ।তারপর ১৭ দিনের মাথায় আমাকে হত্যা করার উদ্দেশ্যে কুপিয়ে গুলি করে ড্রেনে ফেলা রাখা হলো । ছাত্রজনতার দোয়ায় অলৌকিকভাবে বেঁচে গেলেন ।হাজার হাজার মানুষ সেই সন্ধ্যায় দাড়িয়েছিল তাকে রক্ত দিতে । ১২৭টি সেলাই লেগেছিল তার শরীরে ।

১৯৯২ সাল – বিরোধী দলকে মোকাবেলায় সন্ত্রাস দমন অধ্যাদেশ জারী হলো- দেশে সর্বপ্রথম শিকার হলাম তিনি । স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী মরহুম মতিন সাহেব কর্তৃক ধরিয়ে দেয়ার জন্য পুরষ্কার ঘোষনা হলো । অনেক মামলা দিয়েছিল । ১১ মাস পালিয়ে বেড়ালেন ।

১৯৯৬ সালে সর্বোচ্চ ভোট পেয়ে ভিপি নির্বাচিত হোন ।

তাহার পিতা রাজনৈতিক হয়রানির স্বীকার :-
————————————————-
মরহুম অধ্যক্ষ প্রফেসর মুজিবর রহমান । ১৯৯২ সাল থেকে ১৯৯৫ সাল নাগাদ নীতির প্রশ্নে আপোষহীনতার কারনে , আওয়ামীলীগমনার কারনে আব্বাকে সাতবার বদলী করে হয়রানি করা হয় । ময়মনসিংহ মুমিনুন্নেসা সরকারী কলেজ হতে একই কারনে স্ট্যান্ডরিলিজ করা হয় ।

চাকুরী থেকে অবসরের পর নেত্রকোনা বঙ্গবন্ধু কলেজের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ ছিলেন ।

ময়মনসিংহ শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম কলেজের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ছিলেন এবং মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত অবৈতনিক শিক্ষক ছিলেন ।

ছাত্রজীবনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এ- ইকবাল হল থেকে বরিশালের সগীর সাহেবের সাথে নেতৃত্ব দিতেন – একসময় বাংলাদেশ পদার্থ বিজ্ঞান সমিতির নির্বাচন হয় – সেই নির্বাচনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর স্বামী ডঃওয়াজেদ মিয়া সভাপতি আর আমার পিতা মুজিবর রহমান সাধারণ সম্পাদক প্যানেল নির্বাচিত হন ।

১৯৭১ সালে নেত্রকোনা কলেজে শিক্ষক থাকাকালীন অবস্থায় বি.এন..সি.সি. র দায়িত্বে ছিলেন – তৎকালীন সময় যে অসাধারন সাহসীকতার পরিচয় দিয়েছিলেন , তা সে সময়কালীন মুক্তিযোদ্ধা ছাত্ররা বলে থাকেন ।

জোট সরকারের ভয়ানক শাষনকাল।
———————————————–
২০০২ সাল
তৎকালীন ময়মনসিংহের কুখ্যাত এস.পি কোহিনূর মিয়া সশরীরে উপস্থিত থেকে তাদের বাসার সামনে উপর্যুপরি ফাঁকাগুলি চালিয়ে তছনছ করেছিল বাসা আমোকসু নির্বাচনে পরাজয়ে অপমানিত ও ক্ষুদ্ধ হয়ে ।

মুকুলকে ( পরবর্তীকালে আমোকসুর ছাত্রলীগ মনোনীত প্যানেল থেকে নির্বাচিত ভিপি ) ষড়যন্ত্রমূলক অভিযোগে গ্রেফতারের প্রতিবাদে থানায় আক্রমন ও ডিসি অফিস ভাংচুরের অভিযোগে চারটি মামলায় তাকে গ্রেফতার করে ডিটেনশন দেয়া হয় ।

ঘটনাস্থল ময়মনসিংহের গফরগাঁও । ইতিহাসের নজীরবিহীন ঘটনা ঘটছে ওখানে । আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীদের হত্যা,মামলা,নির্যাতন এমনকি ভিটা দখল করে পুকুর তৈরি করেছিল ।

এমনি ভীতিকর সময়ে জননেত্রী শেখ হাসিনা গফরগাঁও সফর করবেন ।

ক্ষমতাসীন বিএনপি জামাতের বারবার আক্রমনের মুখে সমাবেশ স্থল দূরের কথা মাইকিং করার লোক খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না । প্রাইভেট কারে মাইক বেঁধে একহাতে ড্রাইভ করে অন্য হাতে মাইক নিয়ে গফরগাঁও বাজারে মাইকিং করেছিলেন ।

২০০২ সালের ৭ই ডিসেম্বর ময়মনসিংহে একযোগে পাঁচটি সিনেমা হলে বোমা হামলা হলো-অনেকেই হতাহত হলেন । বাংলাদেশ আওয়ামীলীগকে বিশ্বের দরবারে হেয় প্রতিপন্ন করার উদ্দেশ্যে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দদের আসামি করে গ্রেফতার করা হলো । অথচ হামলা করেছিল হরকাতুল জিহাদের জঙ্গিরা । আসামী আওয়ামী লীগ নেতারা তখন জামিনে মুক্ত । একটা বিশ্বস্ত সূত্রে খবর পেলেন । হামলাকারী জঙ্গিরা টাঙ্গাইল এর নাগরপুরে ধরা পড়েছে আরো প্রায় তিন মাস আগে । ময়মনসিংহ ম্যাজিষ্টেটের কাছে হামলার ঘটনার বিবরন দিয়ে স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় সকলেই জবানবন্দী দিয়েছে । কিন্তু বিএনপি সরকার সমস্ত ঘটনা ধামাচাপা দিয়ে আওয়ামী লীগের নেতাদের উপর নিপীড়ন চালাচ্ছে । ম্যাজিস্টেট কোর্টের এক কর্মচারীর মাধ্যমে অতি কাঙ্খিত জবানবন্দীর ফটোকপি হাতে পেয়ে অস্থির উত্তেজনায় নেত্রীকে মোবাইল ফোনে ঘটনা জানালেন । নেত্রী সাথে সাথে সাবের ভাইয়ের ( তৎকালীন রাজনৈতিক সচিব ) সাথে কথা বলে তখনি কথা বলতে বললেন । সাবের ভাই কতগুলো ফ্যাক্স নম্বর দিলেন । রাত গভীর হওয়ার পর ঝুঁকি নিয়ে দূর্গাবাড়ী রোডে অবস্থিত তার সুপরিচিত একজনের ফ্যাক্সের দোকানের শার্টার লাগিয়ে ভোর পর্যন্ত সকল প্রমানাদি প্রেরন করেছিলেন । তার একদিন পরেই জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পত্রিকায় হেড লাইন ।

বিশ্ব নেতৃবৃন্দদের কাছে বিএনপির মুখোশ উন্মোচিত হল ।

২০০৪ সাল ২১শে আগষ্টের ঘৃন্যতম,নৃশংসতম ঘটনার পর ২১শে আগষ্টের সন্ধায় কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে বিক্ষোভে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন রাজপথে। চারটি মামলা হয়েছিল ময়মনসিংহ সদর কোতোয়ালী থানায়। রুহী ১ নম্বর আসামী । সাবেক ভিপি বর্তমানে ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক এডভোকেট মোয়াজ্জেম দুই নম্বর আসামী ।

২০০৪ সালের ১০ই ডিসেম্বর জাপান চলে যান । সুকুবা ইউনিভার্সিটিতে লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় উর্ত্তীন হয়ে মাস্টার্স লিডিং টু পিএইচডি করার সুযোগ পেলেন । রাজনৈতিক ও পারিবারিক কারনে ঘন ঘন দেশে এসে কিছু প্রেজেনটেশন মিছ করায় তার স্কলারশীপ বাতিল হলো । চাকুরী করে খরচ নির্বাহ করা সম্ভব হচ্ছিল না বিধায় দেশে চলে এসে রাজনীতিতে পূর্ন মনোযোগ দিলেন ।

২০০৬ সাল, হাতিরপুল ইষ্টার্ন প্লাজার সামনে বিক্ষোভ মিছিলে পুলিশের ছোড়া রাবার বুলেটে মারাত্মক আহত হোন ।

রাজনৈতিক মামলা :-
—————————–
২০০৮ সাল পর্যন্ত আন্দোলন , সংগ্রাম , প্রতিবাদ , বিক্ষোভ ও ব্যক্তিগত মারামারির কারনে সব মিলে তার বিরুদ্ধে মামলার সংখ্যা ৪৩টি । পাঁচ বারে কারাগারে প্রায় এক বছর হাজতবাস ।

বিডিআর বিদ্রোহ দমনে ভুমিকা :-
———————————————-
২০০৯ সাল তখন সদ্য নির্বাচিত এমপি । বর্বরোচিত , নৃশংস বিডিয়ার বিদ্রোহের সময় জীবনের মায়া ত্যাগ করে সাদা পতাকা হাতে গুলির মুখে মাইকে বিদ্রোহীদের সাথে কথা বলে পিলখানা মুল গেইটে রুহী , এমপি গিনি , এমপি বেলাল গিয়েছিলেন ।

লেখক –

ছাত্রজীবনে দৈনিক জনকণ্ঠে প্রবন্ধ ও জনতা জীবন্মৃত , প্রাকৃতিক গ্যাসের সন্ধানে দুটি গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছিল ।

২০১৭ বইমেলায় রাজনীতি হযবরল নামে গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *