ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি ঃ ঠাকুরগাঁও রাণীশংকৈলের জাতীয় শ্রেষ্ঠ মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৬ষ্ঠ,৭ম ও ৮ম শ্রেণীতে ভর্তি বিলম্বিত করায় অভিভাবক মহলে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে।
রবিবার (৩ডিসেম্বর) সকালে সরজমিনে দেখা যায় , প্রায় শতাধিক অভিভাবক বিদ্যালয়ে জরো হয়। একপর্যায়ে প্রধান শিক্ষকের সাথে অভিভাবকদের উত্তেজনা সৃষ্টি হলে খবর পেয়ে ঘটনা স্থলে আসেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার রকিবুল হাসান ও সহকারী শিক্ষা অফিসার ঘ্যানশ্যাম রায়। পরে অভিভাবকরা অভিযোগ করে বলেন, প্রধান শিক্ষক নিজ ক্ষমতার বলে ভর্তি বিলম্ব করছে আমরা আমাদের সন্তানদের ভর্তি নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছি। অন্য প্রতিষ্ঠানের ভর্তি প্রায় শেষের দিকে। ৬ষ্ঠ,৭ম ও ৮ম শ্রেণী বাতিলের ষড়যন্ত্র করছে প্রধান শিক্ষক বলেও উপস্থিত অভিভাবকরা মন্তব্য করেন। সাবেক ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক বিউটি আক্তার এসময় উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তার সামনে অভিযোগ করে বলেন, বর্তমান ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ছেলিমা আক্তার স্কুলের স্টাপ মিটিংয়ে বলেন এবার তিনি ৬ ষষ্ঠ শ্রেণীতে কোন ছাত্র ভর্তি করাবেন না। প্রধান শিক্ষকের এমন মন্তব্য নিয়ে সহকারী শিক্ষকরা এর বিরোধিতা করেন।
বিদ্যালয়ের সাবেক দুই বারের ম্যানেজিং কমিটির এক সদস্য ও সহকারীর শিক্ষা অফিসার ঘ্যানশ্যাম রায় নির্বাহী অফিসারের সামনেই অভিযোগ করে বলেন বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মাঝে কোচিং বাণিজ্য ও তাদের মধ্যে অভ্যান্তরিন কোন্দল নিয়েই মুলত গ্রুপিংয়ের সৃষ্টি হয়েছে। বিধায় স্কুলটির শিক্ষা ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে।
তবে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ছেলিমা আক্তার দায় চাপাচ্ছেন শিক্ষা ব্যবস্থার নতুন কারিকুলামের উপর।
অপরদিকে বিদ্যালয়ের অভিভাবক সদস্য নওরোজ কাউসার কানন সহকারীর শিক্ষক ধীনেন্দ্রনাথের সম্পর্কে অভিযোগ করে বলেন তিনি এই স্কুলে যোগদানের পর থেকেই অনেক গরিব অসহায় অভিভাবক কে হয়রানি করেই চলেছেন।
জানতে চাইলে রানীশংকৈল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রকিবুল হাসান বলেন,আমি বাকবিতণ্ডার খবর পেয়ে বিদ্যালয়ে গিয়ে পরিবেশ শান্ত করি।তিনি আরো বলেন শিক্ষা অফিসারের সাথে কথা বলে ভর্তির বিষয়টি নিশ্চিত করা হবে এবং শিক্ষকদের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের বিষয় টি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।