খানসামা উপজেলা প্রতিনিধি(মোঃ রাশেদুল ইসলাম)
খানসামা পাকেরহাট বাজারে ৮০ টাকা কেজির মূলা, খুচরা বাজারে বর্তমানে বিক্রি করা হচ্ছে ৫ টাকা কেজি দরে । আর পাইকারি বিক্রি হচ্ছে ২ থেকে ৩ টাকা কেজি। দাম কমে যাওয়ার কারনে অনেকেই দোকানেই তুলছেননা মূলা। আর গ্রামের মানুষ গরু-ছাগলকে খাওয়াচ্ছেন সেই মূলা।
অনেক বছর ধরে এমন দৃশ্য চোখে না পড়লে সম্প্রতি খানসামা উপজেলার বিভিন্ন বাজারে দেখা গেছে এমন দৃশ্য।
শনিবার (২ডিসেম্বর) সকালে খানসামা উপজেলার সবচেয়ে বড় সবজি হাট পাকেরহাটে ঘুরে দেখা যায়, বাজারে মূলার ব্যাপক সরবরাহ রয়েছে। তবে ক্রেতা না থাকায় প্রতি কেজি মূলা বিক্রি হচ্ছে পাঁচ টাকা কেজি দরে।
তবুও নেবার মতো মানুষ নাই।
খানসামার পাকেরহাটে সবজি কিনতে আসা রতন তিনি বলেন, হাটে মূলার কেজি ৫ টাকা হলেও তার গ্রামে কৃষকরা বিক্রি করছেন ২ থেকে ৩ টাকা কেজি তবুও নেবার মতো মানুষ নাই। অনেকেই সে আবার মূলা গরু ছাগলকে খাওয়াচ্ছেন।
পাকেরহাট সবজি বিক্রেতারা বলেন, বাছাই করা মূলা বিক্রি হচ্ছে দেড় কেজি ১০ টাকা, আর এমনি সব মিলে বিক্রি হচ্ছে ৫ টাকা কেজি দরে । সরবরাহ বেশি হওয়ায় দাম কম। তবুও ক্রেতা নেই। অথচ এই মূলা এই বাজারে বিক্রি হয়েছে ৮০ টাকা কেজি দরে। হটাৎ এরকম দরপতনে মূলার চাহিদাও কমে গেছে।
এরকম প্রতিটা সবজির নাম কমে আসলে খেটে খাওয়া মানুষরা স্বস্তিতে কিনতে পারতো।
খানসামার এক মুলা চাষি বলেন আমি এবার অনেক মূলা আবাদ করেছি। বর্তমানে যে দাম তাতে খরচতো দূরের কথা লোকসানের মুখ দেখতে হচ্ছে। তাই বাধ্য হয়ে মূলা জমি থেকে না তুলে হালচাষ দিচ্ছি। লাভের আশার আরও অনেকেই মূলার চাষ করেছে কিন্তু সবার অবস্থা একই।
খানসামা বাজারের বিক্রেতা শাহীন বলেন, আমরা প্রতি কেজি মূলা চার টাকা কেজিতে কিনেছি। মাত্র এক টাকা লাভে বিক্রি করছি। তবুও বিক্রি নাই। এছাড়া অন্যান্য সবজির দামও অনেক কমে গেছে। ক্রেতারা তাদের সাধ্যমতো কিনে নিয়ে যাচ্ছেন শীতকালীন সবজি।
আর এদিকে দাম কমে যাওয়ায় অনেকে তাদের দোকানে মূলা বিক্রি করছেন না ব্যবসায়ীরা । কারণ মূলার দাম কমে যাওয়ায় বিক্রি করে কেজিতে ১ টাকার বেশি লাভ করা যায় না। তাই তারা মূলা বিক্রি করছেন না।
সচেতন মহল মনে করছেন, প্রতিটা সবজি যদি একটু করে দাম কমতো তাহলে দিনমজুর, খেটে খাওয়া মানুষ গুলো একটু খেয়ে বাচতো। তবে তাদের ধারনা দেশটা যেহেতু বাংলাদেশ, খুব দ্রুতই আবার আগের অবস্থানে চলে যাবার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে।