এসব অ্যাকাউন্ট ডিলিট করার কারণও জানিয়েছে মেটা। শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হাজার হাজার ভুয়া ও বিভ্রান্তিকর অ্যাকাউন্ট বাতিল করা হচ্ছে। চীনের ভুয়া অ্যাকাউন্টের বিরুদ্ধে মূলত এ পদক্ষেপ প্রতিষ্ঠানটির। এসব অ্যাকাউন্ট থেকে চীন-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক এবং মার্কিন রাজনীতির নিয়ে বিভ্রান্তিকর তথ্য পরিবেশন করা হচ্ছে। এসব তথ্য পরিবেশনে ব্যবহারকারীরা নিজেদের আমেরিকান পরিচয় দিচ্ছেন।
প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, এসব কর্মকাণ্ডের মধ্যে অন্যতম হলো এগুলো থেকে গর্ভপাত, সাংস্কৃতিক যুদ্ধ এবং ইউক্রেনে সহায়তার বিষয়ে নানা বিভ্রান্তিকর তথ্য।
মেটা তাদের এসব প্রফাইলকে বেইজিংয়ের সাথে সংযুক্ত করেনি। তবে তারা জানিয়েছে, ২০২৪ সালের মার্কিন নির্বাচনকে সামনে রেখে চীনভিত্তিকি এ সংখ্যা ব্যাপকহারে বেড়েছে।
চীন বর্তমানে এ ধরনের নেটওয়ার্কের তৃতীর বৃহত্তম ভৌগোলিক উৎস। এর আগে রয়েছে রাশিয়া ও ইরান। বৃহস্পতিবার মেটার মূল কোম্পানি ফেসবুক ইনস্টাগ্রাম ও হোয়াটসঅ্যাপ তাদের ত্রৈমাসিক রিপোর্টে এ তথ্য জানিয়েছে।
চীনভিত্তিক এসব অ্যাকাউন্টের সংখ্যা ৪ হাজার ৭০০ ছাড়িয়েছে। এগুলো মূলত বিশ্বের বিভিন্ন জনের নাম ও ছবি কপি করে খোলা হয়েছে। এসব অ্যাকাউন্ট একে অন্যের পোস্ট শেয়ার করছে। কখনো কখনো কিছু কনটেন্ট এক্স থেকে কপি করে ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে।
কিছু অ্যাকাউন্টের ক্ষেত্রে দেখা গেছে, এসব অ্যাকাউন্ট মার্কিন রাজনীতিবিদদের নকল করা হয়েছে। এর মধ্যে রিপাবলিকান ও ডেমোক্রেট উভর রাজনৈতিক দলের নেতারা রয়েছেন। এমনকি সাবেক স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি, মিশিগানের গভর্নর গ্রেচেন হুইটমার ফ্লোরিডার গভর্নর রন ডিস্যান্টিস, বিপরবলিকান রাজনীতিবিদ ম্যাট গেটজ এবং জিম জর্ডানসহ অন্যরা।