সাধীন আলম হোসেন
প্রতিনিধি লালপুর নাটোর।
পাবনার সিংড়া মানবকল্যাণ ট্রাস্ট থেকে সাতজন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে তিনজন উত্তীর্ণ হয়।
উত্তীর্ণরা হলো, গাজীপুরের রমিজ উদ্দিনের ছেলে মো: রোমান মিয়া। পাবনা সদরের দোগাছী স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্র থেকে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে জিপিএ ২.৪২ পেয়েছে।
পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার আতাইকুলার রঘুনাথপুরের ওয়াজেদ আলীর ছেলে শুভোন মোল্লা। একই কেন্দ্র থেকে পরীক্ষায়
অংশগ্রহণ করে জিপিএ ২.৫০ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের সুন্দরপুরের বাবলাবনা গ্রামের আনছার আলীর ছেলে মোঃ মেশাররফ হোসেন। পাবনা সরকারি কলেজ কেন্দ্র থেকে জিপিএ ৩.৬৭ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছে।
উক্ত প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষক আব্দুল মালেক জানান শিক্ষাবোর্ড থেকে আমাদের জন্য ব্রেইল পদ্ধতির কোন বই সরবরাহ করা হয়নি।
ব্রেইল পদ্ধতির বই সরবরাহের দাবি জানাচ্ছি। এ প্রতিষ্ঠান থেকে এ পর্যন্ত শতাধিক দৃষ্টি প্রতিবন্ধীকে উচ্চ শিক্ষার সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে। তবে এ প্রতিষ্ঠানে মাত্র দু’জন ব্রেইল পদ্ধতির শিক্ষক হওয়ায় ব্যাহত হচ্ছে তাদের শিক্ষা কার্যক্রম।
পাবনা সিংগা মানবকল্যাণ ট্রাস্টের ভাইস প্রেসিডেন্ট সহকারী অধ্যাপক ড. আলমগীর হোসেন বলেন, এবারের এইচএসসি
পরীক্ষায় এই প্রতিষ্ঠান থেকে ৭ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহন করে। তাদের মধ্য থেকে দৃষ্টি প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী তিনজন উত্তীর্ণ হয়েছে।
সরকারী বেসরকারি পৃষ্ঠপোষকতা পেলে আরও অগ্রসর হবে প্রতিষ্ঠানটি।
প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান অবসরপ্রাপ্ত প্রফেসর আবুল হোসেন বলেন, দৃষ্টি প্রতিবন্ধী, শারীরিক প্রতিবন্ধী, দরিদ্র ও অসহায় মানুষের সেবাব্রত নিয়েই এই প্রতিষ্ঠানটি করা হয়েছে। দানশীল মানুষের দান ও অনুদানে পরিচালিত। ব্রেইল পদ্ধতিতে শিক্ষা দিতে পারলে এই প্রতিষ্ঠানে অধ্যায়নরত শিক্ষার্থীদের উপকারে আসবে। কিন্তু বোর্ড থেকে সেভাবে কোন সাপোর্ট পাইনা। দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের পরীক্ষার জন্য টাকা দিয়ে শ্রুতি লেখক দিতে হয়।
তিনি বলেন, সকল খরচ বিশেষ করে থাকা খাওয়া, শিক্ষা ও চিকিৎসা সহ সকল ব্যয়ভার বহন করে পাবনা মানব কল্যাণ ট্রাস্ট।
Leave a Reply