শিরিন শারমিন অনুসন্ধানী প্রতিবেদক প্রথম বুলেটিন
সামনের সারিতে বসা সাংবাদিকরা ঠিক মেনে নিতে পারছেন না। তাই পরে ব্যাখ্যায় গেলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। ‘আপনারা কে কী বিশ্বাস করেন, জানি না। তবে আমি বিশ্বাস করি, ক্রিকেটে ভাগ্যেরও দরকার। আমাদের সেই জিনিসটা হচ্ছে না। দেখুন, আমাদের ব্যাটাররা যেখানে শটস খেলছে, সেখানেই ফিল্ডার। হয় ক্যাচ হচ্ছে, না হয় রান আটকে যাচ্ছে। আবার আমাদের বোলাররা যেখানেই যত ভালো বল করছে, সেখানেই মার খাচ্ছে।’
পাকিস্তানের কাছে ৭ উইকেটে হারার পর দলের মুখপাত্র হয়ে আসা মিরাজ অবশ্য অন্য সবার মতোই শুরুতে বলে নিয়েছেন– ‘আমাদের হাতে এখনও দুটি ম্যাচ রয়েছে। আশা করছি, আমরা ঘুরে দাঁড়াতে পারব।’
কিন্তু বিশ্বকাপে আসার পর থেকে এই আশার বাণী শুনতে শুনতে উপস্থিত সাংবাদিকরাও বোধ হয় বিরক্ত। তাই মিরাজের কথায় কোনো পাল্টা প্রতিক্রিয়া হয়নি। কেননা, এটা শুধুই বলার জন্য বলা সেটা বুঝে নিয়েছেন অনেকেই। দল কেন পারছে না? কোথায় কোথায় সমস্যা?– এই প্রশ্নগুলোর উত্তর আসলে মিরাজের কাছেও পরিষ্কার নয়। তাই দলের ব্যর্থতার দায় সবাই মিলেই নিতে রাজি তিনি। ‘দেখুন, আমাদের ব্যাটাররা রান পাচ্ছে না। এদিন লিটন দাদা আর রিয়াদ ভাই ভালো একটা জুটি করেছিলেন। যদি তারা আরেকটু এগিয়ে নিতে পারতেন, তাহলে ভালো হতো। আসলে আমরা কেউ রান পাচ্ছি না। সবাই মিলেই খারাপ খেলছি।’ যোগ করলেন।
‘তবে এমন খারাপ সময় কেটে যাবে। আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি। কিন্তু ওই যে বললাম, ভাগ্য আমাদের সঙ্গ দিচ্ছে না।’ নিজের ব্যাটিং অর্ডার নিয়ে সন্তুষ্ট কিনা– সেই প্রশ্নের উত্তরেও কৌশলী ছিলেন। অসন্তুষ্টিটা এড়িয়ে বরং বিব্রতকর নয় তেমন উত্তরই দিলেন। জানালেন টপ কিংবা মিডল অর্ডারে ব্যাটার হিসেবে নিজেকে প্রমাণ করতে হলে তাঁকে আরও কাজ করতে হবে