প্রধানমন্ত্রীকে দেখতে বাহারি সাজে জনসভায় আরিফুল

মো: আমগীর হোসেন বিশেষ প্রতিনিধি তারাকান্দা ময়মনসিংহ

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে এক নজর দেখতে ফরিদপুরের ভাঙ্গায় সমাবেশস্থলের গেটের বাইরে অপেক্ষা করছেন আরিফুল ইসলাম (৪৫) নামের এক ব্যক্তি। তার মুখে মুখোশ, পড়নের রঙিন জামাকাপড় ও টুপির মধ্যে বানানো নৌকা সবার নজর কেড়েছে।
মঙ্গলবার(১০ অক্টোবর) দুপুর ১২টার দিকে ভাঙ্গার ডা. কাজী আবু ইউসুফ স্টেডিয়ামের সামনে এমন বাহারি সাজে দেখা মেলে আরিফুল ইসলামের। তিনি ভাঙ্গা উপজেলার কাউলিবেড়ার বাসিন্দা সোনাম উদ্দিন মণ্ডলের ছেলে।
প্রথম বুলেটিন
আরিফুর ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, ছোটকাল থেকেই আওয়ামী লীগকে ভালোবাসি। নৌকা মার্কা দেখলে মাথা ঠিক থাকে না। ভোটার হওয়ার পর থেকেই নৌকা ছাড়া অন্য কোনো মার্কায় ভোট দেইনি। আশপাশে জনসভা হলেই ছুটে যাই। আজ বাড়ির কাছে নেত্রী আসতেছেন শুনে আর থাকতে পারলাম না।

প্রথম বুলেটিন
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর ট্রেন নাওডোবায়, হাজারও মানুষের বাঁধভাঙা উল্লাস
তিনি আরও বলেন, আমি ঝালমুড়ি বেঁচে সংসার চালাই। আজকে আর দোকান নিয়ে বসিনি। মানুষকে আকৃষ্ট করতে ও আনন্দ দিতে এমন রঙিন জামাকাপড় আর মুখোশ পড়েছি।
প্রথম বুলেটিন
সদরপুর থেকে আসা এক কর্মী বলেন, উনি একজন নৌকা পাগল মানুষ। তার বেশভূষা দেখে মানুষ বেশ আনন্দ পাচ্ছেন।
পদ্মা সেতু সংযোগ প্রকল্পের আওতায় নির্মিত ঢাকা-ভাঙ্গা রেলপথের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। পরে সেখান থেকে ট্রেনে করে পদ্মা সেতু পাড়ি দিয়ে ফরিদপুরের ভাঙ্গা রেলস্টেশনে পৌঁছাবেন। এরপর দুপুর ২টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভাঙ্গার ডা. কাজী আবু ইউসুফ স্টেডিয়ামে ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেবেন তিনি। জনসভা শেষে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় যাবেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রীর ট্রেন নাওডোবায়, হাজারও মানুষের বাঁধভাঙা উল্লাস

হুইসেল বাজিয়ে ঝকঝক শব্দে প্রধানমন্ত্রীর ট্রেনটি যখন শরীয়তপুরের নাওডোবা অংশে পৌঁছায় তখন হাজারও মানুষের বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাসে মুখরিত হয়ে ওঠে পুরো এলাকা। এসময় অপেক্ষমাণ মানুষেরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হাত নেড়ে অভিনন্দন জানান এবং বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন।
মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) দুপুর ১টা ১৬ মিনিটে ঢাকা-ভাঙ্গা পদ্মা সেতু রেললাইনের শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার নাওডোবা প্রান্ত অতিক্রম করে ভাঙ্গার পানে ছুটে চলে ট্রেনটি।
প্রথম বুলেটিন
তাসিরন বিবি নামের পঞ্চাশোর্ধ্ব এক নারী বলেন, ‘রূপবাবুর হাট থেকে এসে সেই সকাল থেকে ছেলের ঘরের নাতিকে নিয়ে ট্রেন দেখার অপেক্ষায় ছিলাম। একটু আগে ট্রেন আমাদের সামনে দিয়ে ফরিদপুরের দিকে চলে গেলো। ট্রেন দেখে আমার নাতি অনেক খুশি হয়েছে।’

প্রথম বুলেটিন
ঠান্ডু নামের স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, ‘দীর্ঘ অপেক্ষার পর প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে ট্রেনটি আমাদের কাছ দিয়েই গেলো। অনেক ভালো লেগেছে। পদ্মা সেতুতে ট্রেন লাইন চালু করায় আমরা অনেক খুশি হয়ে যান।
সাইফুল ইসলাম নামের আরেক ব্যক্তি বলেন, পদ্মা সেতু চালুর পর আমাদের এলাকায় ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। এ সেতু দিয়ে রেললাইন চালুর মধ্য দিয়ে আমাদের দেশ আরও এগিয়ে যাবে বলে মনে করি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *