রহিদুল ইসলাম, স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহীঃ
আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকার বিজয় সুনিশ্চিত করার লক্ষ্যে রাজশাহী জেলার সকল আওয়ামীলীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মিদের ঐক্যবদ্ধ থাকার আহবান জানিয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক ও রাজশাহী-৫(পুঠিয়া-দুর্গাপুর) আসনের সাবেক এমপি নিপীড়িত ও নির্যাতিত অসহায় গরীবের বন্ধু আলহাজ্ব আঃ ওয়াদুদ দারা।
তিনি বলেছেন, অতীতের সকল লবিং-গ্রুপিং, রাগ-ক্ষোভ, মান-অভিমান ও দ্বিধা-দ্বন্দ্ব ভুলে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নৌকার পক্ষ্যে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। নিজেদের ব্যক্তিস্বার্থ হাসিলের নিমিত্তে মনের মধ্যে রাগ-ক্ষোভ পোষে রেখে বিভিন্ন উস্কানীমূলক বক্তব্য দিয়ে দলের মধ্যে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির মাধ্যমে দলকে বিভক্তি করনের অপপ্রয়াস চালায় তারা শুধু নিজের অবস্থানেরই ক্ষতি করেনা, তারা দলেরও অপুরণীয় ক্ষতি করে।
দারা আরোও বলেছেন, দলীয় কোন্দলে বিএনপি-জামাত ও জঙ্গি সংগঠনগুলো অনেক ক্ষেত্রে মাথাচাঁড়া দিয়ে ওঠার সম্ভাবনা হয়ে থাকে, যা অতীতের তিক্ত অভিজ্ঞতা থেকে সবাই লক্ষ্য করেছেন ।
কারণ দলের সাথে যারা আত্মকেন্দ্রিক এবং একপেষে গ্রুপিং এর রাজনীতি করে, তারা তাদের গ্রুপিংকে আরও শক্তিশালী রুপ দেওয়ার জন্য তাদের মধ্যে অনেকেই বিএনপি-জামাতের নেতা-কর্মীদের বিভিন্ন আশ্রয় প্রশ্রয় দিয়ে তাদের গ্রুপিং শিবিরে টেনে নেয় এবং বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধাও তাদেরকে দেয়া হয়, এহেন অবস্থা থেকে নেতাদের বেরিয়ে আসার তাগিদ দিয়েছেন। সেই সাথে শান্তিময় নেতৃত্বের ছায়াতলে এক হয়ে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার জন্য সকলের প্রতি উদাত্ত আহবান করেছেন তিনি।
তিনি আরও বলেছেন, যারা প্রকৃত অর্থে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মূলনীতি ও আদর্শ্য বুকে লালন,পালন ও ধারণ করে তারা কোনোদিনই বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সাথে বেঈমানি করতে পারবে না। তারা দলের কোনরুপ ক্ষতি সংঘটিত হওয়ার আগেই সে ফিরে আসে মূল দলের ছত্রছাঁয়ায়।
আর যারা ফিরে আসতে পারেনা তারাই হয় খন্দকার মোস্তাকলীগের অনুসারী, বেপরোয়া,তারাই নিক্ষেপিত হয় কালো ইতিহাসের নোংরা ঘৃণিত আস্তাকুঁড়ে।
তিনি আরো বলেছেন, আমি রাজশাহী-৫ (পুঠিয়া-দুর্গাপুর) আসনে ১০ বছর এমপি ছিলাম। গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আমাকে নৌকার মনোনয়ন দেয়া হয়নি। তবুও শত কষ্ট বুকে ধারন করে বর্তমান সাংসদ প্রফেসর মনসুর রহমানের পক্ষ্যে নৌকায় ভোট চেয়েছি। এটা সবাই জানে। দলের বিরুদ্ধে যাইনি। তাই মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা খুশি হয়ে আমাকে রাজশাহী জেলা আওয়ামীলীগকে সুসংগঠিত করার জন্য দায়িত্ব দিয়েছে। আমি সেই দায়িত্ব যথাযথাভাবে পালন করার চেষ্টা করে যাচ্ছি। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজশাহী-৫ (পুঠিয়া-দুর্গাপুর) আসনে আমি নৌকার মনোয়ন প্রত্যাশি। আশা করছি আওয়ামীলীগ সভানেত্রী মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাকে নৌকার মনোনয়ন দিবেন বলেও আশা প্রকাশ করেছেন তিনি।
তিনি দীপ্তকন্ঠে বলেছেন, দয়া করে কেউ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকার বিরুদ্ধে হিংসাত্বক গ্রুপিং এর রাজনীতি করবেন না।
সেটা করলে, স্বয়ং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার সাথেই হিংসাত্বক গ্রুপিং এর রাজনীতি করা হবে। সকলের এটা মনে রাখতে হবে বাংলাদেশ আওয়ামীগ তথা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাষ্ট্র্রীয় ক্ষমতায় না থাকলে সকলের হিংসা, প্রতিহিংসা, গ্রুপিং এবং ক্ষমতা, সবকিছুই রসাতলে যাবে।
শেষ কথা হচ্ছে, স্বাধীনতাবিরোধী, দেশবিরোধী, গ্রেনেডবাজ,দুর্নীতিবাজ,বোমাবাজ,আগুন সন্ত্রাসী খুনী বিএনপি -জামায়াত রাষ্ট্র্রীয় ক্ষমতায় গেলে ক্ষমতা, জোর, প্রতিপত্তি সব ধ্বংশ করে দিবে তারা, পিঠের চামড়া থাকবে না কারও। এটা মনে রাখতে হবে।
Leave a Reply