———- মুহাম্মদ আমির হোসেন
০৬.১০.২০২৩ পল্লবী ঢাকা
হেমন্তের বৃষ্টি ভেজা রাতে, মখমল বিছানায়
অপার স্নিগ্ধতা নিয়ে ঢলে পড়ি, মসৃণ গ্রীবায়,
আদরের তিলোত্তমা নগরের হাত ধরে বলি
সুঢল স্তনের ঘ্রাণ উদ্বেলিত পরশের থলি।
আকুতিময় উত্থান ঠেলে দেয় রতির উৎসবে
বিজলী সুখের মতো চিরায়ত আনন্দ মচ্ছবে,
অলস দুপুর কাঁদে আতপ্ত শীতল সমীরণ
চিরচেনা মন্থনেরে মদমত্ত আনন্দ সিঞ্চন।
মদের পেয়ালা হারে, অপূর্ণ রয়, তত বাসনা
সময় ফসিল হয়ে আবেদন কখনো মেটে না,
অমৃত অধর যেন ঢেলে দেয় চুম্বন ধরাতে
হেমন্তের প্রেমাবেগ মোহমেঘ জুড়েছে খরাতে।
দেবী তুই, পূজারিণী আমি, করছি যত বন্দনা
ঢের বেশি সুখ আছে, অপূর্ব, এই দান অল্প না,
ক্ষীণাঙ্গী, তিস্তার জলে ভেসে আসে কত বানভাসি
আতঙ্ক বুকের তলে, ভুলিনি, বলতে ভালোবাসি।
বুকের অলিন্দে এসে সরোবরে প্রেমিক বিলোল
কখনো সাধ মেটে না, বলিনি তো এক চুল ভুল,
পুরুষ ক্ষমতা বলে ভুলে যায় নিজেকে আবার
অপরূপ মধু জ্যোৎস্না, ভরে প্রাণ, হয় একাকার।
Leave a Reply