today visitors: 5073432

সাংবাদিকদের দেয়া কথা রাখলেন ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান

সৈয়দ শাহানা আক্তার ঢাকা
প্রথম বুলেটিন

জনাব হাবিবুর রহমান, বিপিএম (বার), পিপিএম (বার)।

তিনি একজন স্বপ্নদ্রষ্টা। একজন সৃজনশীল আর কর্মদ্যোমী মানুষ। চাকুরি জীবনে যে কর্মস্থলেই দায়িত্ব পালন করেছেন, সেখানেই রেখে এসেছেন তাঁর সৃষ্টিশীল চিন্তাচেতনা আর ব্যতিক্রমী কর্মস্পৃহার স্বাক্ষর।

তিনি গত ৩০ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ পুলিশের সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ ইউনিট ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ৩৬তম পুলিশ কমিশনার হিসেবে যোগদান করেন। তাঁর দূরদর্শী নেতৃত্ব আর সৃজনশীলতায় বদলে যেতে শুরু করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের প্রতিটি ইউনিট।

গত সোমবার মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগে তিনি ‘কমিশনার’স মিট দ্যা প্রেস’ এ মুখোমুখি হন গণমাধ্যমের। নির্ধারিত প্রেস ব্রিফিং শেষে সাংবাদিকদের সাথে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারের সাংবাদিকদের জন্য নির্ধারিত ‘জার্নালিস্ট কর্ণার’ কক্ষটি পরিদর্শনে যান। সাংবাদিকরা জানান, ইলেকট্রিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ সেখান থেকে সংবাদ তৈরি করে মিডিয়া হাউজে প্রেরণ করেন। কিন্তু কম্পিউটারগুলো ঠিকমতো কাজ না করায় তাদের কাজের ব্যাঘাত হচ্ছে। এছাড়াও সেখানকার এয়ার কন্ডিশনার নষ্ট ও সোফাসেট অনেক পুরাতন হওয়ার হওয়ায় সেগুলো সংস্কারের বিষয়ে উপস্থাপন করেন। তিনি সাংবাদিকদের কাছে তিন দিন দিনের মধ্যেই কক্ষটি সংস্কারের জন্য সময় নেন।

তিনি তিন দিনের মধ্যেই ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারের ‘জার্নালিস্ট কর্ণার’ কক্ষটি সংস্কারের জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন। তাঁর নির্দেশের তিন দিনের মধ্যেই মিডিয়া সেন্টারের জার্নালিস্ট কর্ণারে নতুন একটি এয়ারকন্ডিশনার, দুটি নতুন কম্পিউটার ও নতুন সোফা সেট স্থাপন করা হয়েছে।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, যে কোনো জায়গায় পরিবর্তন আনতে হলে সাংবাদিকদের সহযোগিতা প্রয়োজন। সমাজে সচেতনতা সৃষ্টি ও অপরাধ দমনে সাংবাদিকদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। অপরাধবিয়ষক সাংবাদিকদের পেশাগত কাজে ডিএমপিতে আসতে হয়। মিডিয়া সেন্টারে বসতে হয়। এখানকার পরিবেশ সাংবাদিকবান্ধব হওয়া উচিত। এটি বিবেচনায় নিয়েই আমি ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে সাংবাদিকদের কাজের সুবিধার্থে যা যা প্রয়োজন সব কিছুর ব্যবস্থা করার নির্দেশ দিয়েছি।

‘জার্নালিস্ট কর্ণার’ দ্রুত এবং কমিশনারে দেয়া দিন দিনের মধ্যেই সংস্কার করায় সাংবাদিকরা কমিশনার মহোদয়কে ধন্যবাদ জানান এবং সন্তোষ প্রকাশ করেন। তারা জানান, এর ফলে পুলিশ ও সাংবাদিকের মধ্যে যে সম্পর্ক সেটা আরো দৃঢ় হবে। এটি পুলিশ ও সাংবাদিকদের পেশাগত কাজে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *