মো: আলমগীর হোসেন বিশেষ প্রতিনিধি তারাকান্দা ময়মনসিংহ
মোবাইল:০১৯১৭৩৩৮৪১৮,
বিস্তারিত প্রথম বুলেটিন এ
জলবায়ু পরিবর্তন, বিশ্ব উষ্ণায়নের মতো জটিল প্রাকৃতিক সমস্যাকে মোকাবিলা করার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে পৃথিবী তার নিজস্ব নিয়মে একবার উত্তপ্ত হবে আবার শীতল হবে। তবে মানুষের সৃষ্ট কিছু কারণে পৃথিবী উত্তপ্ত হচ্ছে। এখন বাংলাদেশে প্রায়ই এলনিনো দেখা যাচ্ছে এবং এভাবে এলনিনো বৃদ্ধি পেতে থাকলে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে না। ফলে সমন্বিত উদ্যোগই পারে কেবল ঢাকা শহরের তাপমাত্রা কমাতে।’
গতকাল প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ (পিআইবি)-এর কনফারেন্স হলে গোলটেবিল বৈঠকে বক্তারা এসব কথা বলেন। বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্র এবং বাংলাদেশ রিসোর্স সেন্টার ফর ইনডিজিনাস নলেজ যৌথভাবে এই বৈঠকের আয়োজন করে।
সভাপতির বক্তব্যে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন -এর সহসভাপতি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক এম শহীদুল ইসলাম বলেন, ‘যে প্রক্রিয়ায় আমরা বর্তমান অবস্থায় এসে পৌঁছেছি আমাদের আবার সেই প্রক্রিয়ায় আগের অবস্থানে ফিরে যেতে হবে। গাছ কাটলে তার পরিবর্তে গাছ লাগাতে হবে। জলাধারগুলোকে সংরক্ষণ করতে হবে।’ বিশেষ অতিথির বক্তব্যে অ্যাড্রিয়েন আর্শট-রকফেলার ফাউন্ডেশন রেজিলিয়েন্স সেন্টার বাংলাদেশের চিফ হিট অফিসার বুশরা আফরিন বলেন, ‘উচ্চ তাপমাত্রা মানুষের শারীরিক ও মানসিক অসুস্থতা বৃদ্ধি করছে। এলনিনো আসতেই থাকবে এবং এ বছরের তুলনায় পরবর্তী বছরের গ্রীষ্মকাল আরো বেশি উত্তপ্ত হতে পারে। সেক্ষেত্রে যতটুকু সম্ভব অভিযোজনের ক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি জলবায়ুর অভিঘাত প্রশমনের উপায়গুলো খুঁজে বের করতে হবে। জলবায়ু পরিবর্তন, বিশ্ব উষ্ণায়নের মতো জটিল প্রাকৃতিক সমস্যাকে মোকাবিলা করার জন্য আমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে। সমন্বিত উদ্যোগই পারে ঢাকা শহরের তাপমাত্রা কমাতে।’
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ এস এম কামরুল হাসান বলেন, পৃথিবী তার নিজস্ব নিয়মে একবার উত্তপ্ত হয় আবার শীতল হয়। তবে কিছু মনুষ্য সৃষ্ট কারণে পৃথিবী উত্তপ্ত হচ্ছে। এখন বাংলাদেশে প্রায়ই এলনিনো দেখা যাচ্ছে এবং এভাবে এলনিনো বৃদ্ধি পেতে থাকলে বাংলাদেশের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে না।
স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের ইমেরিটাস প্রফেসর অধ্যাপক ড. এম ফিরোজ আহমেদ বলেন, ‘উন্নয়ন আমাদের জন্য জরুরি কিন্তু আমরা শহরে যে উন্নয়ন করছি সেখানে পরিবেশ রক্ষার বিষয়টি মাথায় রাখছি না। তাই অনেকাংশেই ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে পরিবেশ সুরক্ষা নিশ্চিত করেই উন্নয়ন করতে হবে। পিআইবির মহাপরিচালক জাফর ওয়াজেদ বলেন, প্রতিটি উন্নয়ন কার্যক্রমের আগে জনস্বাস্থ্য নিয়ে ভাবতে হবে এবং সে অনুযায়ী পদক্ষেপ নিতে হবে।
মূল প্রবন্ধে বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্রের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আহমদ কামরুজ্জমান মজুমদার বলেন, তাপমাত্রা বৃদ্ধির জন্য বৈশ্বিক অনেকগুলো কারণ থাকলেও স্থানীয় কারণগুলো মুখ্য। তাই তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে স্থানীয় কারণগুলোকে প্রাধান্য দিতে হবে। তিনি ঢাকা শহরের ক্রমবর্ধমান তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে সুপারিশ জানিয়ে বলেন, গাছপালা সরাসরি তাপ এবং কার্বন নির্গমন হ্রাস করে। তাই শহরের প্রতিটি ফাঁকা স্থানে গাছ লাগাতে হবে এবং ছাদবাগান বৃদ্ধি করতে হবে। রাস্তার বিভাজনে শোভাবর্ধনকারী গাছ ছাড়াও ভূমির ধরনের ভিত্তিতে উদ্ভিদ, মৃত্তিকা ও পরিবেশ বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী বিভিন্ন রকম উপকারী বৃক্ষ যেমন—ফলদ, বনজ, ঔষধি গাছ রোপণ করতে হবে। উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য গাছ নিধন নয় বরং গাছকে স্থানান্তরের ব্যবস্থা করতে হবে, যেমনটি উন্নত দেশগুলোতে হয়ে থাকে। এমন ১০টি সুপারিশ তুলে ধরেন
রাজধানী