মো: আলমগীর হোসেন বিশেষ প্রতিনিধি তারাকান্দা ময়মনসিংহ
মোবাইল:০১৯১৭৩৩৮৪১৮,
বিস্তারিত প্রথম বুলেটিন এ
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শের শিক্ষক পরিষদ’ নামে আওয়ামীপন্থি শিক্ষকদের নতুন দলের আত্মপ্রকাশ করেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএ-জেইউর অধ্যাপক ড. মো. মোতাহার হোসেনকে আহ্বায়ক এবং ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ড. খো. লুৎফুল এলাহীকে সদস্যসচিব করে ৯ সদস্যের একটি আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে।
আইবিএ-জেইউর অধ্যাপক ড. মোতাহার হোসেন ও ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ড. লুৎফুল এলাহী। ছবি: সংগৃহীত
নিজস্ব প্রতিবেদক
৩ মিনিটে পড়ুন
মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন: প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. সোহেল আহমেদ, আইবিএ-জেইউর অধ্যাপক ড. আইরিন আক্তার, প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক মালিহা নার্গিস আহ্মেদ, আইবিএ-জেইউর সহযোগী অধ্যাপক মো. আলমগীর হোসেন, উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক শামীমা নাসরীন জলি, ইতিহাস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মাসুদা পারভীন এবং জার্নালিজম অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আমিনা ইসলাম।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আমরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে তার প্রতি গভীর আস্থা রেখে নির্বাচনসহ সব রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে সাহসের সঙ্গে সক্রিয় অংশগ্রহণ করে অবদান রেখেছি। কিন্তু যাদের কখনও জাতীয় রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করতে দেখা যায়নি তারাই তাদের ব্যক্তিস্বার্থ হাসিলের জন্য ভিসিকে ক্রীড়নকে পরিণত করেছে। সর্বোপরি বিশেষ সুবিধাবাদী গোষ্ঠী ও উপাচার্যের এসব বিতর্কিত কর্মকাণ্ড জাতীয় অঙ্গনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ও বর্তমান সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করেছে। এ অবস্থায় বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সব শিক্ষক-শিক্ষার্থী-কর্মকর্তা-কর্মচারীর স্বার্থে সরকার ও দলের ভাবমূর্তি উন্নয়নে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারণ করে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মূলধারার একটি শিক্ষক সংগঠন গঠন করা অপরিহার্য হয়ে পড়ায় ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শের শিক্ষক পরিষদ’ নামে শিক্ষক সংগঠন গঠন করেছি।
বিজ্ঞপ্তিতে উপাচার্য অধ্যাপক নুরুল আলমের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের সমালোচনা করে বলা হয়, বর্তমান উপাচার্য দায়িত্ব গ্রহণের পর কতিপয় সুবিধাবাদী শিক্ষকের ইন্ধনে আওয়ামীপন্থি জ্যেষ্ঠ অনেক শিক্ষককে আস্থায় না নিয়ে উপাচার্যের ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে গত ১১ অক্টোবর ২০২২ বিতর্কিতদের দিয়ে সংগঠনটির নতুন আহ্বায়ক কমিটি গঠন করেন। এর মধ্য দিয়ে তিনি নিজের ব্যক্তি ও সুবিধাবাদী গোষ্ঠী স্বার্থ হাসিলে সংগঠনটিকে ব্যবহার করতে তার চরম স্বেচ্ছাচারী মনোভাবের বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছেন। শুরুতেই উপাচার্য সংগঠনটির আহ্বায়ক কমিটি গঠনে স্বজনপ্রীতি দেখান ও বিতর্কিতদের পৃষ্ঠপোষকতা প্রদান করেন। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বিশ্বাসী বিপুল সংখ্যক শিক্ষক ভীষণ মর্মাহত হন এবং বিব্রতবোধ করেন, আমরাও মর্মাহত হই এবং আমরাও বিব্রতবোধ করি।
আরও পড়ুন: প্রথম বুলেটিন এ
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, সম্প্রতি বেশ কিছু গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগে অনৈতিক প্রভাবের অভিযোগ উত্থাপিত হয়েছে। এ অভিযোগ খতিয়ে দেখার জন্য আমরা রাষ্ট্রের যথাযথ কর্তৃপক্ষের নিকট জোর দাবি জানাচ্ছি। বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সকল শিক্ষক-শিক্ষার্থী-কর্মকর্তা-কর্মচারীর স্বার্থে সরকার ও দলের ভাবমূর্তি উন্নয়নে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারণ করে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মূলধারার একটি শিক্ষক সংগঠন গঠন করা অপরিহার্য হয়ে পড়ায় ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও বঙ্গবন্ধুর আর্দশের শিক্ষক পরিষদ’ নামে শিক্ষক সংগঠন গঠন করেছি। আমরা এই শিক্ষক সংগঠনের পক্ষ থেকে আসন্ন সিনেটে শিক্ষক প্রতিনিধি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছি।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বিশ্বাসী শিক্ষকদের নিয়ে ‘বঙ্গবন্ধু শিক্ষক পরিষদ’ গঠন করা হয়েছিল। দীর্ঘ চার বছর পর গত বছরের ১১ অক্টোবর নতুন করে সংগঠনটির পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়। এর পর চলতি বছরের ২৫ জুলাই ৫৫ সদস্যবিশিষ্ট বর্ধিত কমিটি গঠন করা হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের আওয়ামীপন্থি শিক্ষক শিবিরের একাংশে অসন্তোষ আরও তীব্র হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার নতুন একটি সংগঠন আত্মপ্রকাশ করল।
Leave a Reply