কাশিমপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি আমজাদ হোসেনের নামে অপপ্রচার করায় ছয় জনের নামে মানহানির মামলা।
মাজহারুল ইসলাম গাজিপুর প্রতিনিধি:-
গাজীপুরের ঐতিহ্যবাহী কাশিমপুর প্রেসক্লাবের বার বার নির্বাচিত সফল সভাপতি মোঃ আমজাদ হোসেনকে নিয়ে ফেসবুকে ‘মিথ্যা তথ্যসংবলিত’ ছবি আপলোড করা ও কমেন্টে অসহনীয় মন্তব্য করায় ৬ জনের নামে মানহানিকর মামলা হয়েছে। রবিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) গাজীপুর সিএমএম আদালতে ৪৯৯/৫০০/৫০১/১০৯ ধারায় এ মামলাটি রুজু হয় যার মামলা নং ৮২৫।
মামলার বিবরণীতে বলা হয়, মোঃ আমজাদ হোসেনকে সামাজিক, রাষ্ট্রীয়ভাবে হেয়প্রতিপন্ন করার লক্ষ্যে মিথ্যে তথ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ও বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় উপস্থাপন করে যা উদ্দেশ্য প্রণোদিত ও পূর্ব পরিকল্পিত। অভিযুক্ত বিল্লাল হোসেন সাজু ,হাসান,মোত্তাসিম শিকদার রাজিব, নুর আলম সিদ্দিকী মানু এসকে শুভ, জামাল আহমেদের ফেসবুক পেজে ভিডিও ক্লিপ ও ছবি আপলোড করা হয়েছে। যা গত কয়েকদিন ধরে তাহারা এটিকে অপ প্রচার করছে। একপর্যায়ে সভাপতি আমজাদ হোসেনের বিষয়টি নজরে আসলে গত বৃহস্পতিবার তিনি নিজেই বাদী হয়ে আদালতে মামলা দায়ের করেন।
আমজাদ হোসেন ৩ বছর পূর্বে টাঙ্গাইল জেলার গোপালপুর থানায় নির্মিত ২০১ গম্বুজ মসজিদ দেখতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পরেন। আশপাশের লোকজন তার সেবা করেন। সেই অসুস্থতার ছবিটি তাদের ফেসবুকে দিয়ে লিখেন” নারীসহ আমজাদ আটক”। অথচ ছবিটি সম্পূর্ণ মিথ্যে, বানোয়াট, ভিত্তিহীন, ষড়যন্ত্রমূলক ও মানহানিকর।
গত ক’দিন আগে কাশিমপুরের লোহাকৈরে মদিনাতুল উলুম নামে একটি মাদ্রাসার দুই ছাত্রের মারামারির বিষয়টিকে ভিন্ন আঙ্গিকে নেয়ার জন্য এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রচার করেন উল্লেখিত ৬ জন সংবাদ কর্মী। একপর্যায়ে মাদ্রাসার প্রধানের কাছে ৫০ হাজার টাকা দাবীও করেন তারা। আর দাবি কৃত টাকা না দেয়ার কারণে তারা ছাত্রকে শিক্ষক বলে ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান মাদ্রাসার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালান। যার প্রেক্ষিতে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ হাসানের বিরুদ্ধে ৫০ হাজার টাকা দাবীর বিষয়ে লিখিত অভিযোগও করেন।
বাদীর আইনজীবী ইসমাইল হোসেন বলেন, কাশিমপুর প্রেসক্লাব সভাপতি মোঃ আমজাদ হোসেনকে জড়িয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি ভুয়া ছবি প্রচার করে কতিপয় দুষ্কৃতকারী। যার কারণে ৬ জনের নামে গাজীপুরে বিজ্ঞ আদালতে ৬০ কোটি টাকার মানহানির মামলা করা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, আদালত বাদীর বক্তব্য গ্রহণ করে কাশিমপুর থানা পুলিশকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
Leave a Reply