সূর্যের উদ্দেশ্যে উৎক্ষেপণ করল ভারতের মহাকাশযান আদিত্য এল-১
মো: আলিফ মিয়া
শুরু হল ভারতের সূর্য অভিযান। আজ (শনিবার, ২ সেপ্টেম্বর) শ্রীহরিকোটা থেকে সূর্যের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করে ইসরোর মহাকাশযান আদিত্য এল-১।
উৎক্ষেপণের পর ১৬ দিন পৃথিবীর চারপাশে পাক খাবে সৌরযানটি। এ সময় ৫টি ধাপে প্রয়োজনীয় গতিবেগ সঞ্চয় করবে আদিত্য এল-১। পরবর্তী ১শ' ১০ দিনে ১৫ লাখ কিলোমিটার দুরে সূর্যের ল্যাগ্রাঞ্জিয়ান পয়েন্টে পৌঁছে, সূর্যকে পর্যবেক্ষণ করবে আদিত্য এল-১।
কক্ষপথের এই পয়েন্টের বড় সুবিধা হলো, সেখান থেকে কোনো প্রতিবন্ধকতা ছাড়াই সব সময় সূর্যের বিভিন্ন কার্যকলাপ পর্যবেক্ষণ করা যাবে। ল্যাগ্রেঞ্জ পয়েন্ট হলো এমন একটি স্থান যেখানে সূর্য ও পৃথিবীর মধ্যকর্ষণ শক্তি থাকে না।
আদিত্য-এল ১ মহাকাশযানটি ল্যাগ্রেঞ্জ পয়েন্টে স্থাপন করা হলে স্যাটেলাইট পরিচালনার জন্য খুব কম জ্বালানির প্রয়োজন হবে। কারণ আদিত্য-এল ১ মহাকাশযান পৃথিবীর মতো একই গতিতে সূর্যকে প্রদক্ষিণ করতে সক্ষম হবে।
আদিত্য-এল ১ মহাকাশযান ১ হাজার ৪শ' ৪০ টি ছবি ১ দিনে পাঠাতে সক্ষম। মহাকাশযানটি আগামী ৫ বছরের জন্য সফলভাবে তথ্য পাঠাতে পারবে। এমনটাই দাবি করেছে ভারতের মহাকাশ গবেষণা প্রতিষ্ঠান ইসরোর।
এটা সূর্য নিয়ে গবেষণায় ইসরোর প্রথম অভিযান। গবেষণার এই মিশনের নাম দেওয়া হয়েছে সুরিয়া।
এই অভিযানে কত খরচ হবে ইসরো তা না জানালেও ভারতীয় গণমাধ্যমগুলো বলছে, এতে চার কোটি ৬০ লাখ মার্কিন ডলার বা ৩৭৮ কোটি রুপি (ভারতীয় মুদ্রা) খরচ হবে।
ইসরো বলছে, আদিত্য-এল ১ মহাকাশযানটিতে সাতটি বৈজ্ঞানিক যন্ত্র থাকবে, যা পর্যবেক্ষণের কাজে ব্যবহৃত হবে। এই গবেষণা অভিযান বিজ্ঞানীদের সৌর বায়ু, সৌর শিখা এবং পৃথিবী ও এর কাছাকাছি মহাকাশে সেগুলোর প্রভাব সম্পর্কে বুঝতে সাহায্য করবে।
আগামী ফেব্রুয়ারিতেই পাওয়া যেতে পারে আদিত্য এল -১ এর পাঠানো প্রথম ছবি, দাবি করেছে সংস্থাটি।